A Short Documentary on KUSHTIA. History and Secret Information. All in One.


কুষ্টিয়া জেলার সকল তথ্য


বাংলাদেশের 64 টি জেলার মধ্যে একটি অন্যতম জেলা কুষ্টিয়া। যার আয়তন 1621.25 বর্গ কিলোমিটার। এ জেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৯৪৬৮৩৮ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৯৭৩৫১৮ জন যা মোট জনসংখ্যার ৫০.০১% এবং মহিলা ৯৭৩৩২০ জন যা মোট জনসংখ্যার ৪৯.৯৯%। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১২১০/বর্গ কিলোমিটার। এ জেলার প্রধান পেশা কৃষি। এছাড়াও চাকুরী ব্যবসা দিনমজুরসহ সব পেশার মানুষই এখানে রয়েছে।

কুষ্টিয়া জেলা ১৭২৫ সালে নাটোর জমিদার এর অধীনে ছিল পরবর্তীতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৭৬সালে কুষ্টিয়াকে যশোর জেলার অন্তর্ভূক্ত করে। ১৮৭১ সালে কুমারখালী ও খোকসা থানা নিয়ে কুষ্টিয়া মহকুমা নদীয়ার অর্ন্তগত হয়। মূলত ১৯৪৭ সালে কুষ্টিয়া জেলার অভ্যুদয় ঘটে।

কুষ্টিয়া জেলার উত্তর পশ্চিম এবং উত্তরে রাজশাহী, নাটোর ও পাবনা জেলা, দক্ষিণে ঝিনাইদহ জেলা, পশ্চিমে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলা এবং পূর্বে রাজবাড়ী জেলা অবস্থিত।

কুষ্টিয়া’ নামটি কীভাবে এলো, তা নিয়ে ইতিহাসকারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছ। সবচেয়ে সমর্থিত মতটি হলো, কুষ্টিয়াতে এক সময় প্রচুর পরিমাণে পাট উৎপাদিত হতো। পাটকে স্থানীয় ভাষায় ‘কোষ্টা’ বা ‘কুষ্টি’ বলতো, যার থেকে কুষ্টিয়া নামটি এসেছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে আরো বেশ কিছু মতামত প্রচলিত আছে।

কুষ্টিয়া জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের নাম বলতেই যার নামটি সর্বপ্রথম আসে তিনি হলেন বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ। যদিও তার জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
এর পরেই বলতে হয় প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিষাদ সিন্ধু, জমিদার দর্পণ এর মত রচনা রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেন যিনি এই কুষ্টিয়াতেই জন্মগ্রহণ করেছেঙ।
এছাড়াও রয়েছেন মোহিনী মিল এর প্রতিষ্ঠাতা মোহিনী মোহন। সমাজ বিপ্লবি সাময়িক পত্র সেবি হিসেবে পরিচিত কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক সামরিক আদালতের প্রধান বিচারক হিসেবে বিচার কার্য পরিচালনাকারী রাধা বিনোদ পাল। কুষ্টিয়া অঞ্চলের নীল বিদ্রোহের নেত্রী প্যারী সুন্দরী । বাঙালি ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী নেতা বাঘাযতীন প্রমুখ মহান ব্যক্তিবর্গের জন্ম এই কুষ্টিয়ায়।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জববার, আনোয়ার উদ্দীন খান, ওস্তাদ আঃ মোতালেব, নার্গিস পারভীন, ফরিদা পারভীন, খালিদ হোসেন, তিমির নন্দী, সুফিয়া মনোয়ার, মিল্টন খন্দকার, রতন খন্দকার ও এস.আই টুটুলসহ অনেক খ্যাতিমান শিল্পীর জন্ম এই কুষ্টিয়ায়। চিত্র নায়িকা সুজাতা, রাজু আহমেদ, আহমেদ শরীফ, আফরোজা বানু, সালাউদ্দিন লাভলু, মাসুম রেজা, ফেরদৌস হাসান এর মত গুণী শিল্পীর জন্ম এই কুষ্টিয়া।

কুষ্টিয়া অনেক দর্শনীয় স্থান পাওয়া যায়। যার মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি।
রয়েছে বাউল সম্রাট লালন শাহের মাজার
মীর মশাররফ হোসেনের বাস্তভিটা
ঝাউদিয়ার শাহী মসজিদ
গোপীনাথ জিউর মন্দির
কুষ্টিয়া পৌরসভা
মোহিনী মিল।।

কুষ্টিয়া বহুপূর্ব থেকেই বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে এর অবিসংবাদিত পরিচিতি রয়েছ। এখানকার সাংস্কৃতিক সবচেয়ে বড় সংগঠন পরিমল থিয়েটার।

আরো জানতে আমাদের চ্যানেল ভিজিট করুন।

Best of luck.. 




Post a Comment

0 Comments